মানবাধিকারের সলিলসমাধি হওয়ার পর্যায়ে ভূমধ্যসাগরে, মুসলমানদের প্রতি হওয়া বিভিন্ন বৈষম্যের প্রেক্ষিতে বলেছেন সমালোচকরা। ইউরোপের নেতাদের মুসলিম দেশে ইউরোপ নেতাদের মুসলিমদের নির্যাতন চাকানো এবং আগ্রাসনের বিষয়ে কিছু লোক দেখানো তৎপরতা ও নানা ঘটনায় শুধুমাত্র দুঃখ প্রকাশ ছাড়া কিছু দেখা যায় না।
বিশ্বে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের জন্য ইউরোপিয়ানদের সদা সোচ্চার নীতি দ্বিচারিতায় প্রকাশ পেয়েছে এক জরিপে। সেই জরিপে বলা হয়েছে, ইউরোপের দেশগুলির মধ্যে অস্ট্রিয়ার মুসলমানরা সর্বোচ্চস্তরের বৈষম্যের শিকার।
বিভিন্ন পরিসংখ্যানে জানা যাচ্ছে, ইসলাম ধর্মের মানুষের সংখ্যা অস্ট্রিয়াতে বাড়ছে। বেশিরভাগই মুসলিম তুরস্ক থেকে আসা তুর্কীদের বংশধর বা অভিবাসী। দেশটিতে প্রায় ৬০০ মসজিদ এবং নামাজের জায়গা রয়েছে বলে দাবি এক বেসরকারি সূত্রের। তবে অস্ট্রিয়ায় দুই বছর আগে ৭টি মসজিদ এবং বিদেশি অর্থে পরিচালিত ধর্মীয় বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে।
এছাড়াও ইউরোপের এক গবেষণা অনুযায়ী, এই মহাদেশে অস্ট্রিয়ার মুসলমানরা সর্বোচ্চমাত্রায় বৈষম্যের শিকার।
অস্ট্রিয়ায় ২০২৩ সালে ইসলামবিরোধী বর্ণবাদের একহাজার পাঁচশ বাইশটি মামলা রেকর্ড করেছে যা গতবারের তুলনায় অনেক বেশি।
অস্ট্রিয়ান সংবাদপত্র ডারস্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী, ইউরোপীয় মানবাধিকার সংস্থার (এফআরএ) মাধ্যমে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে, ইউরোপে অস্ট্রেলিয়ার মুসলমানরা সর্বোচ্চস্তরের বৈষম্যের শিকার। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে চুয়াত্তর শতাংশ মানুষ জানিয়েছে, তারা গত ৫ বছরে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন নানাভাবে। এই পরিসংখ্যান ইউরোপের দেশগুলির মধ্যে এই পরিসংখ্যান সর্বোচ্চ।
অস্ট্রিয়ার মুসলিম নেতারা দাবি করেছেন, মুসলমানরা চরম বর্ণবৈষম্যের শিকার হচ্ছে দেশটিতে। কট্টর ডানপন্থি উগ্রবাদী এবং শ্বেতাঙ্গ বর্ণবাদীরা প্রায়ই প্রাণঘাতী হামলা চালাচ্ছে নিরপরাধ মুসলমানদের উপর।
সেই জরিপে বলা আছে, সুইডেন এবং স্পেনে ২৩ শতাংশ, জার্মানিতে ৭১ শতাংশ এবং ৩১ শতাংশ মুসলিম নিজেদের প্রতি হওয়া বৈষম্যের কথা স্বীকার করেছেন।
৪৩ শতাংশ মুসলমান ফ্রান্সে বৈষম্যের শিকার। জরিপে দাবি করেছে, মুসলিমরা ইসলামফোবিয়া হতে বাঁচতে অন্য দেশে পালিয়ে যাচ্ছেন দেশ ছেড়ে।
ইউরোপে দুটি প্রধান কারণ কে ইসলামপ্রিয় ব্যক্তির জন্য কার্যকর বলে তিনি মনে করেন।
প্রথমটি- সরকারি নানাধরণের নীতি, যেগুলো মুসলমানদের লক্ষ্য করে প্রণীত হয়। যেমন হল স্পেনের সন্ত্রাসবিরোধী আইন। এতে ধরে নেয় , মুসলিম যে কেউ সন্ত্রাসী হতে পারে।
দ্বিতীয় কারণ- পুরো ইউরোপে অতিডানপন্থী আন্দোলনের উত্থান।