ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন ছুরিকাহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে গুলশানের ৯০ নম্বর সড়কে অবস্থিত ডিএনসিসির পুরোনো রাজস্ব কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। রাত প্রায় সাড়ে আটটা নাগাদ দুর্বৃত্তরা সেখানে হানা দিয়ে মকবুল হোসাইনকে ছুরিকাঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যায়।
মকবুল হোসাইনকে গুরুতর আহত অবস্থায় দ্রুত গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়, যেখানে বর্তমানে তিনি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, ৯০ নম্বর সড়কের ডিএনসিসি রাজস্ব বিভাগের পুরোনো কার্যালয়ে তৈরি অস্থায়ী ব্যাডমিন্টন কোর্টে মকবুল হোসাইনসহ ঢাকা উত্তর সিটির আরও তিনজন কর্মকর্তা খেলারত ছিলেন। এ সময় হেলমেট পরা এক ব্যক্তি এসে মকবুল হোসাইনকে ডাকেন। কথা বলতে বলতে ওই ব্যক্তি মকবুলের কাঁধে হাত রেখে তাকে কার্যালয়ের বাইরে রাস্তায় নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর মকবুল আহত অবস্থায় ফিরে আসেন এবং চিৎকার করে অন্যদের সাহায্য চান। পরে সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পৌঁছান।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহীদুল ইসলাম জানান, খেলায় মকবুল হোসাইন তার সঙ্গী ছিলেন। রাত সাড়ে আটটার দিকে এক অপরিচিত লোক এসে তার নাম ধরে ডাকে এবং কোর্টের বাইরে রাস্তার দিকে যেতে বলে। লোকটি জানায়, মাত্র ৩০ সেকেন্ড কথা বলবে। কিছুক্ষণ পর মকবুলকে রক্তাক্ত অবস্থায় দৌড়ে ফিরে আসতে দেখা যায়। তখন তার জামা ছেঁড়া এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্ত লেগে ছিল।
হাসপাতালে চিকিৎসার বিষয়ে তিনি জানান, রক্তপাত বন্ধ করার জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকদের মতে, শরীরে বড় কোনো ক্ষত রয়েছে কিনা কিংবা কোনো গুরুত্বপূর্ণ রক্তনালি কাটা পড়েছে কিনা, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য বুধবার সকালে অস্ত্রোপচার করা হবে। মকবুলের শরীরের তিনটি জায়গায়—ডান কাঁধের নিচে, ডান হাতের কনুইয়ের নিচে এবং বুকে ছুরির আঘাত লেগেছে।
ঢাকা উত্তর সিটির সচিব (যিনি বর্তমানে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্বে আছেন) মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক বলেন, এই ঘটনা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, ঢাকা উত্তর সিটির অঞ্চল-৩-এর নির্বাহী কর্মকর্তাকে থানায় পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।