বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, যারা নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের পরিকল্পনা করছেন, তাদের জন্য একটি বার্তা রয়েছে। তিনি বলেছেন, যদি তারা পুরনো স্বৈরাচারের সহায়কদের নিয়ে দল তৈরি করেন, তবে তা কখনোই বাংলাদেশের জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে বাংলাদেশ টুমরো ফোরাম (বিটিএফ) আয়োজিত ‘জুলাই-আন্দোলন ২০২৪ বৈষম্যহীন আগামীর বাংলাদেশ ও বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা তিনি বলেন।
আসাদুজ্জামান রিপন মন্তব্য করেছেন, স্পষ্টভাবেই বলা যায়, যদি কোনো রাজনৈতিক দল বা নেতা পতিত স্বৈরাচারের সমর্থকদের নিজেদের দলে অন্তর্ভুক্ত করেন, তবে সেই দলের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। তিনি জানান, যদি কোনো রাজনৈতিক দল স্বৈরাচারের সহযোগীদের নিয়ে দল গঠনের পরিকল্পনা করে, তাদেরকে সাবধান করে দিতে চান যে, জনগণ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে এবং সংগ্রাম শুরু করবে।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকতে দিল্লির সঙ্গে সম্পর্ককে কাজে লাগিয়েছে। আওয়ামী লীগ তাঁদের ক্ষমতার মূল উৎস হিসেবে দিল্লিকে বিবেচনা করতেন। সরকারে থাকা কিছু ব্যক্তি বলেছেন, নির্বাচন হবে পরে, প্রথমে সংস্কার। তবে বর্তমানে বাংলাদেশে যে সংকট বিরাজ করছে, তার সমাধান একটাই—একটি নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।
তিনি উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনার বিচার অবশ্যই হতে হবে। শেখ হাসিনা এবং তার সহযোগীরা যে পরিমাণ মানুষ হত্যার সঙ্গে যুক্ত, তাদেরকে পুনর্বাসন করা কোন ভাবেই সম্ভব নয়। যারা জনগণের বিরুদ্ধে কাজ করেছে, জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়েছে, দেশের সম্পদ লুট করেছে এবং তা ধ্বংস করেছে—আমরা তাদের সবাইকে বিচারের মুখোমুখি করবো।
বিটিএফ’র আহ্বায়ক রাজ মাসুদ ফরহাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন— বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হাসান পাহীন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
উত্তরা পূর্ব থানার সাবেক ওসি থানা থেকে পালিয়েছেন তিনি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিল