বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ সৃষ্টি করা এইচএমপিভি ভাইরাস করোনার মতো ভয়াবহ না হলেও, এর লক্ষণ অনেকটা করোনার মতো। বিশেষত শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে এই ভাইরাস বেশি আক্রান্ত করছে। তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই, সঠিক কিছু নিয়ম মেনে চললে আপনি সহজেই এই ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে পারবেন।
এইচএমপিভি একটি শ্বাসতন্ত্রের ভাইরাস যা সাধারণ সর্দি, কাশি, জ্বর এবং শ্বাসকষ্টের মতো লক্ষণ সৃষ্টি করে। শিশু, বয়স্ক এবং দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার ব্যক্তিদের জন্য এটি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। ভাইরাসটি সাধারণত আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি, কাশি অথবা সরাসরি বস্তু বা স্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায়।
এই ভাইরাস থেকে নিজেকে ও অন্যদের সুরক্ষিত রাখতে নিচের পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করুন:
মাস্ক পরা
বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরুন, যা নাক এবং মুখ পুরোপুরি ঢাকবে। হাঁচি বা কাশির সময় টিস্যু বা কনুই দিয়ে মুখ ঢাকুন এবং ব্যবহৃত টিস্যু সঙ্গে সঙ্গে ফেলে দিন।
হাত পরিষ্কার রাখা
বাইরে থেকে আসার পর বা কোনো কিছু স্পর্শ করার পর অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুতে হবে। সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিন এবং অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ থেকে বিরত থাকুন। খাওয়ার আগে এবং জনসমাগম থেকে ফিরে হাত ধোওয়ার অভ্যাস করুন। সাবান ও পানি না থাকলে অ্যালকোহলযুক্ত (কমপক্ষে ৬০%) স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
বস্তু বা জিনিস কম স্পর্শ করা
দরজার হাতল, আলোর সুইচ, স্মার্টফোন ও কিবোর্ডের মতো নিয়মিত স্পর্শ করা বস্তুগুলো জীবাণুমুক্ত রাখুন। জনবহুল স্থানে সিঁড়ি বা অন্যান্য বস্তু স্পর্শ না করাই ভালো। একাধিক ব্যক্তি ব্যবহার করা জিনিসও এড়িয়ে চলুন।
অসুস্থ হলে বাড়িতে থাকুন
জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং দ্রুত চিকিৎসাসেবা নিন। অসুস্থ হলে বাড়িতে বিশ্রাম নিন, পুষ্টিকর খাবার খান এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন
স্বাস্থ্যকর জীবনধারা মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, পর্যাপ্ত পানি পান করা, পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করা এবং নিয়মিত ব্যায়াম রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। ঘুমের অভাবে সর্দি, কাশি এবং ক্লান্তি বাড়তে পারে।
আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়ানো
অসুস্থ বা আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ থেকে বিরত থাকুন। বিশেষ করে সর্দি-কাশি বা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা রয়েছে এমন ব্যক্তির জিনিস ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। এই সময় জনসমাগম থেকে বিরত থাকা সবচেয়ে ভালো।
চিকিৎসকের পরামর্শ
যদি শ্বাসকষ্ট, উচ্চ জ্বর বা গুরুতর লক্ষণ দেখা দেয়, তবে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
এই সচেতনতা ও সতর্কতা অবলম্বন করলে আপনি এবং আপনার পরিবার এইচএমপিভি ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে পারবেন।
ইত্তেফাক/পিএস