বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলায় আজ সোমবার সকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন উমেপ্রু মারমা (৩৪) নামের এক নারী। স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে এবং এর পেছনের কারণ কী, তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
পাড়াবাসীর ভাষ্য অনুযায়ী, সকাল দশটার দিকে উমেপ্রু বাড়ি থেকে বের হয়ে খামারবাড়ির পথে হাঁটছিলেন। তখন একটি গুলির শব্দ শোনা যায়, যার পরপরই তিনি মাটিতে পড়ে যান। গুলিটি তাঁর তলপেটে লাগে এবং পেছন দিক দিয়ে বের হয়ে যায়। স্থানীয়রা তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে বান্দরবান জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনাটি ঘটেছে মুরুংবাজারের কাছে, বান্দরবান-ওয়াইজংশন-রুমা সড়কের পাশে অবস্থিত হিমাগ্রীপাড়ায়।
উমেপ্রু মারমার ভাই ক্যচিংনু মারমার তথ্য অনুযায়ী, কারা গুলি চালিয়েছে, সে বিষয়ে তারা কোনো ধারণা পাননি। বান্দরবান শহরের বালাঘাটা এলাকায় রুমেল তঞ্চঙ্গ্যার সঙ্গে উমেপ্রুর বিয়ে হয়েছিল। রোববার তিনি বালাঘাটার বাসা থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। রুমেল তঞ্চঙ্গ্যা পেশায় গাড়িচালক এবং ঘটনার সময় তিনি তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন না।
বান্দরবান সদর হাসপাতালে উমেপ্রু মারমাকে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা তাঁকে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেন এবং দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। অজ্ঞান অবস্থায় উমেপ্রুকে চট্টগ্রামে নেওয়া হয়েছে। রোয়াংছড়ি থানার ওসি শুভ্র মুকুল চৌধুরী জানিয়েছেন, একজন নারী গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা সম্পর্কে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। কেন এবং কারা উমেপ্রুকে গুলি করেছে, তা জানতে তদন্ত চলছে।